শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে প্রধান শিক্ষক আযহারুলকে আসামি করে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষিকা।
গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে সখিপুর থানার মাগন ব্যাপারীকান্দী গ্রামে আযহারুলের বাড়ির একটি কক্ষে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন ব্যাপারীর কান্দি গ্রামের আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ৪৪নং তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভুক্তভোগী নারী সখিপুর থানার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
সাংবাদিক নিয়োগ
পরে বিয়ের কথা বললে আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে ওই শিক্ষিকাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করেন। পরে শিক্ষিকাকে বিয়ের আশ্বাসে ঘর থেকে বের করে দেন ওই প্রধান শিক্ষক ও তার আত্মীয়রা।
ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আযহারুলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। আযহারুল বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ঘর উঠানোর জন্য সে আমার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকাও নিয়েছেন। ২২ জুলাই রাতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন আযহারুল।
প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম
এদিকে, শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মুঠোফোনে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজি স্যারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হবে।
সখিপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, প্রধান শিক্ষক আযহারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক সহকারী শিক্ষিকা। ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আযহারুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।