সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের আইগবেড়া গ্রামে সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে কলেজ ছাত্রের লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শাহজাদপুর থানার অভিযোগ ও প্রবাসীর পারিবারিক সূত্রে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম মোঃ নুরুজ্জামান (২০) সে একই গ্রামের শফি উদ্দিন কুটির পুত্র।
এবং ঘোরশাল সাহিত্যিক বরকাতুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের বি এ প্রথম বর্ষের ছাত্র। নুরুজ্জামান তার প্রতিবেশী চাচা রইজ উদ্দিন মলোর কুয়েত প্রবাসী ছেলে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জননী স্বর্ণা বেগম (২২) এর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে, এর জের ধরেই সম্প্রতি নুরুজ্জমান তার প্রেমিকা স্বর্ণা ভাবীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৮ বছর পূর্বে কুয়েত প্রবাসী গোলাম মোস্তফা বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের স্বর্ণাকে বিয়ে করে কুয়েতে চলে যান।
এর মাঝে দু দফায় দুই মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলেন মোস্তফা। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশি দেবর, কলেজছাত্র নুরুজ্জামান ভাবী স্বর্ণা বেগমের বসত বাড়িতে অবাধ আসা যাওয়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সময়ের ব্যবধানে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গভীরতা লাভ করে। কিছুদিন পূ্র্বে কুয়েত থেকে দেশে আসে প্রবাসী মোস্তফা আর এতে প্রেম বিনিময়ে বিঘ্ন ঘটে স্বর্ণা বেগম ও নুরুজ্জামানের। দুজনের দেখা সাক্ষাৎ কিম্বা মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়।
এটা নিয়ে লুকোচুরির একপর্যায়ে সম্প্রতি কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ভাবি স্বর্ণাকে নিয়ে উধাও হয়েছে কলেজ ছাত্র নুরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গৃহবধূর স্বর্ণা বেগমের শশুর প্রবাসী মোস্তফার পিতা রইজ উদ্দিন মলো বলেন, প্রথমে আমরা এতো কিছু বুঝতে পারিনি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের বৌমাকে সতর্ক করলে সে আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি দূর্ব্যবহার করতে শুরু করে।
ছোট নাতিনকে রেখে বাড়ীতে থাকা ৯ ভড়ি গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে নুরুজ্জামানের সাথে পালিয়েছে । আমার মান সন্মান আর কিছুই রইলনা। আমার সহজ সরল ছেলেকে ঠকিয়ে নিঃস্ব করে দিয়ে গেছে স্বর্ণা। তাদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান মেলেনি, ফলে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে নুরুজ্জামানের বড় ভাই ও স্থানীয় গ্রাম প্রধান লুৎফর রহমানসহ গতকাল শনিবার সকালে এক ঘরোয়া সালিসি বৈঠকে স্বর্ণার নিয়ে যাওয়া স্বর্নলঙ্কার বাবদ ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরুণ দেয়ার রায় হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ রায় বাস্তবায়ন করবে বলে জানান রইজ উদ্দিন মলো।
এদিকে নুরুজ্জামানের ভাতিজা জানান, আমার চাচা জোর করে নিয়ে যায়নি স্বইচ্ছায় স্বর্ণা বেগম গিয়েছে এবং মোস্তফাকে তালাক দিয়ে নুরুজ্জামানকে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়েও করেছে। তবে তারা কোথায় আছে তা এখনও জানেননা তারা। তবে সালিস বৈঠকে অর্থ দন্ডের কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গ্রাম প্রধান লুৎফর রহমান বলেন, ছেলে – মেয়ের অনুপস্থিতি ছাড়াই সালিস বৈঠক হয়েছে এবং স্বর্নালঙ্কার বাবদ ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে নুরুজ্জামানের পরিবারকে।
এদিকে, এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।