কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া কোনাখালীর তিনটি অংশে মাতামুহুরী নদী রোধে ৩২ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। ১ কোটি ৪২ লাখ ব্যয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫১০ মিটার এলাকায় ডাম্পিং করেছেন ৩২ হাজার ৩৯ টি বালুভর্তি জিও ব্যাগ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় তিনটি পয়েন্টে ৭ টি প্যাকেজে ডাম্পিং কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ২২ জুলাই মাতামুহুরি নদীর কাইজ্জ্যারদিয়া ভাঙন স্থলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া -পেকুয়া) আসনের এমপি জাফর আলম।
কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মাতামুহুরি নদীর ভাঙন তাণ্ডবে কোনাখালী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। কোনাখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়াডের মধ্যম কোনাখালীর হাজারো বসত বাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতি বছর ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি
চরম ঝুঁকিপূর্ণ, অরক্ষিত এ সব এলাকাকে সুরক্ষিত করতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।চলতি বর্ষা মৌসুমে ও ব্যাপক ভাঙনের কবলে কোনাখালী কাইজ্জাদিয়া পয়েন্টটি। বাঘগুজারা, কোনাখালী ভায়া বদরখালী সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত তীরসহ সড়কের অংশ নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে এমপি জাফর আলমের প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের কাজ শুরু করে মাতামুহুরি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা সুরক্ষিত করতে সক্ষম হন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা জামাল মোর্শেদ বলেন, মাতামাতি নদীর ভাঙন কবল থেকে বাঘগুজারা, কোনাখালী ভায়া বদর খালী সড়ক এবং ইউনিয়নের কাইজ্জারদিয়া পয়েন্টে ১৫০ মিটার, কন্যারকুম পয়েন্টে ২০০ মিটার মরংঘোনা পয়েন্টে ১৬০ মিটার এলাকাসহ মোট সাতটি পয়েন্টে সাতটি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ সমপন্ন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণ ৫১০ মিটার এ কাজের বিপরীতে ।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানালেন, আপাতত অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও মাতামুহুরি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা সুরক্ষিত করতে চকরিয়ার কোনাখালীতে তিনটি অংশের ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ৫১০ মিটার এলাকায় তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাকিম এণ্ড ব্রার্দাস, মেসার্স মোক্তার আহমদ, মেসার্স এন এস নিশা ইন্টারন্যশনাল, মেসার্স আয়েশা কনষ্ট্রাকশন এরই মধ্যে সাতটি প্যাকেজে সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।
পাউবোর এই কর্মকর্তা বলেন, কাজে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে জন্য পাউবোর ট্রাণ্সফোর্স টিমের উপস্থিতিতে জিওব্যাগ পরিমাপ পরবর্তী তা নদীতে ডাম্পিং করা হয়েছে। যার ফলে ভাঙন কবলিত এলাকা আপাতত অরক্ষিত। এ সব এলাকা তীব্র নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে সড়ক লোকালয় ও ক্ষেতের ফসলাদী। এ দিকে ভাঙন স্থলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন এমপি জাফর আলম।
এ সময় তিনি বলেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমে আরো প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে টেন্ডারের মাধমে তীর সংরক্ষণ কাজটি আরো টেকসই করা হবে বলে আশ্বাস দেন। স্থায়ী ভাবে বাঁধ কাম সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় এই টেকসই বাঁধ এই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন মালের প্রধান রক্ষা কবচ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এমপি জাফর আলম। এ সময় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।