বগুড়া প্রতিনিধি:
বান্ধবীকে আইফোন কিনে দিতে আত্মগোপনে থেকে ‘অপহরণ’ নাটকের তিনদিন পর ধরা পড়েছেন রাকিবুল হাসান রিয়াদ নামে এক যুবক। এ সময় ‘অপহরণ’ নাটকের আরেক অভিনেতা- রিয়াদের বন্ধু মুন্না হাসানকেও আটক করা হয়। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে উদ্ধার করে র্যাব। পরে র্যাব জানতে পারে তারা নিজেরাই অপরহরণের এই নাটক সাজান।
রাকিবুল হাসান রিয়াদ সোনাতলা উপজেলার নামাজখালী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম ওবায়দুল সরকার। তার বন্ধু মুন্না হাসান জয়পুরহাট কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মইফুল আকন্দ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
র্যাব জানায়, রিয়াদ তার এক বান্ধবীকে আইফোন কিনে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা ছিল না। বাবা-মা’র কাছ থেকে টাকা নিতে বন্ধু মুন্নাকে নিয়ে অপহরণ নাটকের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন রিয়াদ। এর কিছুক্ষণ পর মোবাইল বন্ধ করে রাখেন তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে ২৫ জুলাই তারা সোনাতলা থানায় জিডি করেন।
র্যাব আরো জানায়, ২৬ জুলাই সকালে রিয়াদের নম্বর থেকে তার বাবার কাছে কল আসে। ফোনে বলা হয়, তোর ছেলে রিয়াদকে জীবিত উদ্ধার করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে এক লাখ টাকা রেডি করে জানা। এরপরই রিয়াদের বাবা বুঝতে পারেন- তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলে অপহরণ হয়েছে ভেবে তাকে উদ্ধারের জন্য র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে সহযোগিতা চান তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রিয়াদ ও মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে- রিয়াদ তার বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যেই অপহরণ নাটক সাজান। এই টাকা দিয়ে রিয়াদ তার এক বান্ধবীকে আইফোন উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই বন্ধুর এই নাটক। দুজনই তাদের মোবাইল বন্ধ রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন ও বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতেন।
তিনি আরো বলেন, রিয়াদ ও তার বন্ধু মুন্নাকে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না বলে তারা মুচলেকা দিয়েছেন।