বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ২২ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার দিবাগত রাতেই নিহত পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরুষ শূন্য এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে ভাব। তবে কৃষক শহীদ শেখ সংঘর্ষে মারা যাওয়ায় তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে পরমেশ্বরদী গ্রামের নজরুল মোল্যা ও মনিরুল কাজী তাদের বাড়ি সংলগ্ন কুমার নদের কাটাগাঙে পাট জাগ দেযন। মনিরুলের পাটের জাগ হারিয়ে গেলে তিনি নজরুলকে দোষারোপ করেন। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে কয়েক দফায় দুইগ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ দুইপক্ষের প্রায় ৫০ ব্যক্তি আহত হন। এবং একজন মারা যান।
নিহত শহীদ ফকিরের স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, স্বামী মারা গেছে, আমার পরিবারকে দেখবে কে? আমার আর কিছুই থাকল না।
পরমেশ্বরদী গ্রামের গৃহবধু লতিফা বেগম, রাবেয়া আক্তার ও খাদিজা আক্তার অভিযোগ করেন, শহীদের মৃত্যুর খবর শুক্রবার রাতে গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে রাতের অন্ধকারে আমাদের বাড়িঘর থেকে গরু, ছাগল ও ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে নিহত পক্ষের লোকজন।
আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তু ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, লুটপাটের অভিযোগ নিয়ে কেউ আমাদের কাছে আসেনি। আমরা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলাম। যেখানেই কাউকে জড়ো হতে দেখেছি; তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাত তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। বিকেল ৬টা পর্যন্তু থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।