নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধি-নিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে ২৫ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কার্যক্রম।
এই কার্যক্রমে সারাদেশে এক হাজার ৫৯টি দোকানে ডিলার ও ট্রাকের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি চলবে। শুক্রবার ছাড়া আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের বরাদ্দ করা চাল ও আটা নির্ধারিত সময়ে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকা দরে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে।
ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য ১০টি সিটি কর্পোরেশন তিনটি করে অতিরিক্ত ট্রাকসেল কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। ট্রাকসেল কেন্দ্র প্রতি দৈনিক আড়াই টন করে চাল এবং দেড় টন করে আটা বরাদ্দ পাবে।
‘ক’ শ্রেণির (জেলা সদরের বাইরে) পৌরসভায় (১৩৩টি) প্রতিটিতে চারটি করে দোকান ডিলার কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। দোকান ডিলার কেন্দ্র প্রতি দৈনিক দেড় টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে।
‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির (নিয়মিত বরাদ্দের আওতাবহির্ভূত) পৌরসভায় (১৩৭টি) প্রতিটিতে তিনটি করে দোকান ডিলার কেন্দ্র বরাদ্দ পাবে। দোকান ডিলার প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক দেড় টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবে।
ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে যেকোনো ধরনের জটিলতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা ওএমএস কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিরসন করতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
‘ওএমএস নীতিমালা, ২০১৫’ এর অন্যান্য সব শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।