রেজওয়ান আলী স্টাফ রিপোর্টার- দিনাজপুর বীরগঞ্জে ঘাস চাষে করে বদলে গেছে শামীমা বেগমের ভাগ্যের চাকা।
উপজেলা সদর থেকে দশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুসুমতৈড় গ্রামে। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মেয়ে শামীমা বেগম। ২০০৫ সালে পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুসুমতৈড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মঞ্জু আলী (৪৫) শামীমাকে বিয়ে করেন। স্বামী সন্তান নিয়ে শাীমমার ছোট্ট পরিবার।
দিন মজুরি করে সংসার চালাতেন তার স্বামী। কাজ পেলে খাবার জুটত,না পেলে অনাহারে থাকতে হতো তাঁদের এই কষ্ট। বীরগঞ্জ এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সার্বিক সহযোগীতায় ও উপজেলা প্রাণী স¤পদ অধিদপ্তর থেকে ঘাষ চাষের পরামর্শ ও সাহায়তায় বসতভিটা ঘাসচাষ শুরু করেন। সেই গ্রামের শামীমা বেগম (৩৮) চার বছর আগের জীবনের সঙ্গে এখন কোনো মিল নেই। ওই সময় তাঁর বসতভিটা ছাড়া কোনো জমি ছিল না।
অন্যের জমিতে কামলা খেটে কোনোরকমে সংসার চালাতেন তার স্বামী। একবেলা খাবার জুটলেও আরেক বেলা জুটত না। স্বামী-সস্তানদের নিয়ে প্রায় উপোস থাকতে হতো। আর আজ তিনি সফল ঘাঁসচাষি। সুন্দর বাড়ি,বিশ শতক জমির মালিক।
উপজেলার পল্টাপুর ইউনিয়নের কুসুমতৈড় গ্রামের শামীমা বেগমের ভাগ্যের চাকা বদলে গেছে ঘাস চাষে। এখন এলাকার অনেক ঘাসচাষির পথপ্রদর্শক তিনি। উপজেলার পৌর শহরে থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুসুমতৈড় গ্রাম। এই গ্রামে শামীমা বেগমের বাড়ি। গ্রামটিতে ঢুকেই চোখে পড়ে সবুজের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ ঘাঁসের খেত।কেউ ঘাস কাঁটছেন,কেউ আঁটি বেঁধে অটো ভ্যান করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। সরজমিনে শামীমার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,তিনি বাড়ির পাশে লাগানো জমির ঘাঁস কাঁটছেন। সাংবাদিক পরিচয় শুনে আইলে উঠে আসেন তিনি । এরপর ঘাঁস চাষের গল্প শোনান।শামীমা বীরগঞ্জ জানান,কুসুমতৈড় গ্রামটি দেখতে দেখতে ঘাঁসের খেত সবুজে ভরে ওঠে।
৫০ দিনের মাথায় ঘাস বিক্রি করে খরচ বাদে পাঁচ হাজার টাকা আয় আসে। স্বামীও ঘাস চাষে তাঁর সঙ্গে কাজে হাত লাগায়।এভাবে একপর্যায়ে শামীমা বেগম হয়ে ওঠেন সফল ঘাসচাষি। শুধু যে ঘাস চাষ করেন তা না,বীরগঞ্জ এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ থেকে গাভী পেয়েছেন তিনি ।
সেই গাভী থেকেও দুধ পায় সেই দুধ বাজার জাত করে এবং পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। ঘাস চাষ করে শামীমা শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি। গ্রামের অনেকেই তাঁর পরামর্শে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন বলে জানা যায়।