দিনাজপুর ফুলবাড়ীতে”২৯ বিজিবি সীমান্তে ৮ মাসে ৫ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য সহ মালামাল জব্দ করেছে উক্ত বিজিবি সেনা দল।
জানা যায় যে,দিনাজপুর ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি সীমান্তে ৮ মাস অভিযান চালিয়ে ৫ কোটি ৮২ লক্ষ ৩ হাজার ৮ শত ২ টাকার মাদক সহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ। উক্ত ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব পূর্ণ এলাকার ৭৮.৫ কি.মি এর মধ্যে ১৬টি বিওপি এবং ৩টি বিশেষ ক্যাম্প সহ মোট ১৯টি বিওপি/ক্যাম্পে নিয়োজিত সৈনিকগন সীমান্ত এলাকায় জানুয়ারী থেকে (২৯শে আগষ্ট ২০২১) পর্যন্ত চোরাচালান অভিযান চালিয়ে ৮ মাসে ৫ কোটি ৮২ লক্ষ ৩ হাজার ৮ শত ২ টাকার মাদক সহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেন।
ফুলবাড়ী২৯ বিজিবি সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ১৪০ জন কে আটক করেন। তন্মধ্যে পলাতক রয়েছে ৭৫ জন সর্ব মোট ২১৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ১১০টি চোরাচালানীর মামলা দায়ের করেন। ১৯টি বিওপি ও ৩টি বিশেষ ক্যাম্পে নিয়োজিত বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে কঠোরভাবে নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে মাদকদ্রব্য সহ অন্য কোন ধরনের অবৈধ মালামাল নিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে চোরাকারবারীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সীমান্তে অব্যহত রয়েছে বিজিবির টহল ও অভিযান কার্যক্রম। এছাড়াও বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে দিবা ও রাত্রীকালীন সমন্বিত টহল পরিচালনা করে উভয় দেশের চোরাকারবারীদেরকে আটকে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে:কর্ণেল শরীফ উল্লাহ আবেদ (এসজিপি) এর সাথে শনিবার কথা বললে তিনি সাংবাদিককে জানান,২৯ বিজিবি ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর থেকে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম ও কঠোর হস্তে সীমান্তের চোরাচালন প্রতিরোধ অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছেন তার দিক নির্দেশনা ও দূরদর্শিতায় সীমান্তে ৯৫% চোরাচালান কমেছে। এছাড়াও তিনি নিয়মিত ভাবে চোরাচালান,মাদক,সীমান্তে অবৈধ্য অনুপ্রবেশ,নারী ও শিশু এবং মানব পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক সভার আয়োজন এবং করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ মহামারি বিষয়ে এলাকার জনগনকে প্রেরণা প্রদান অব্যহত রয়েছে। এছাড়া আমি প্রতিবেশী ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে রেখেছি সু-সম্পর্ক,ফলে সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণ নিরাপদে দিন অতিবাহীত করছে। সীমান্তে নেই কোন নগরিক নিহত/আহত,নেই কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা,আন্ত:সীমান্ত অপরাধ এবং অবৈধ্য অনুপ্রবেশ। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,বর্তমানে সরকারের পক্ষে উক্ত বিজিবি দলটি অতি সূক্ষ্মতার কাজ করে যাচ্ছেন। এমন অবস্থার চিত্র অব্যাহত থাকলে ভারতে থেকে অবৈধ মালামাল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন।।