দিনাজপুরে কোভিট-১৯,করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আরো ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।
জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩৬৭১ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে আরো ৮৩ জনসহ এ পর্যন্ত ১২৬৬০ সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় এ পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে জেলায় করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগি রয়েছে ৭৪১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫৮ জন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ এসব তথ্য নিশ্চিত করে আরও জানান,শনিবার (১৪ আগষ্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও সদর উপজেলায় ১৯ জন,বীরগঞ্জে একজন,বোচাগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একজন।
শনিবার পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত ১৩৬৭১ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশী সদর উপজেলায়। এই উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫৮ জন। এ পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিরলে মোট আক্রান্ত ৮৬৯ জন ও মোট মৃত্যু ২০ জন,বিরামপুরে আক্রান্ত ৫৮১ জন ও মৃত্যু ১২ জন,বীরগঞ্জে আক্রান্ত ৪৭৯ ও মৃত্যু ১২ জন,বোচাগঞ্জে আক্রান্ত ৬৪১ জন ও মৃত্যু ১৯ জন,চিরিরবন্দরে আক্রান্ত ৫২৫ জন ও মৃত্যু ১৮ জন,ফুলবাড়ীতে আক্রান্ত ৬৪৬ জন ও মৃত্যু ১১ জন,ঘোড়াঘাটে আক্রান্ত ১১১ জন,মৃত্যু একজন,হাকিমপুরে আক্রান্ত ৩০৫ জন জন ও মৃত্যু ৪ জন,কাহারোলে আক্রান্ত ৩২৫ হস ও মৃত্যু ৮ জন,খানসামায় আক্রান্ত ৩৪২ জন ও মৃত্যু ৯ জন,নবাবগঞ্জে আক্রান্ত ৩২৭ জন ও মৃত্যু ৬ জন এবং পার্বতীপুর উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১০৬২ জন ও মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান,বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগিদের জন্য মোট বেড রয়েছে ৪১৫টি। এর মধ্যে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০টি,দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ৭৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে ১৪০টি। এসব বেডের মধ্যে ১৪ আগষ্ট শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগির সংখ্যা ১০৭ জন,দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে ২৬ জন।
এসব রোগির মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগি ৮২ জন ও করোনা উপসর্গ সম্বলিত রোগি রয়েছে ৭৬ জন। সিভিল সার্জন আরো জানান,এ পর্যন্ত ১৪ আগষ্ট শনিবার পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৮ জনকে করোনা টিকা প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৭ জনকে অক্সফোর্ড,এস্ট্রাজেনেকা টিকা ও ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮১ জনকে সিনোফার্ম (ভেরোসেল) টিকা প্রদান করা হয়েছে। আর অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে ৯২ হাজার ৫৮৯ জনকে ও ৯ হাজার ৩৯৫ জনকে সিনোফার্ম (ভেরোসেল) টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়।।