বগুড়া প্রতিনিধি:
প্রায় ৪ মাস পলাতক থাকার পর রউফ সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মন্ডলের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে চলতি বছর ১১ মার্চ রাতে বগুড়া শহরের সাতমাথায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত তাকবীর ইসলামের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ মামলা করেন। আর ১৭ মার্চ সংগঠন থেকে আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়।
রউফের কারাগারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন। তিনি জানান, তাকবীর ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রউফ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিসেস হাবিবা মণ্ডল জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ায় নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আব্দুল মালেক জানান, প্রধান আসামি আব্দুর রউফসহ মোট ৬ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে আল আমিন নামের একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত থেকে রউফের আত্মসমর্পনের নথি পাওয়া গেলে তাকে রিমান্ড চাওয়া হবে।