গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এন এ টেক্স সোয়েটার কম্পানিতে কাজ করার পর ৯ মাস পার হলেও মালিক পক্ষ দিচ্ছে না শ্রমিকের বেতন।
এন এ টেক্স সোয়েটার কোম্পানির শ্রমিকরা জানায়, গত বছর (২০২০) সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনো পাইনি আমরা শ্রমিকেরা, বেতনের টাকা চাইতে গেলে মালিক পক্ষ শুধু তারিখ দেয়, এভাবে ৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর বেতনের টাকার জন্য ফ্যাক্টরিতে গেলে ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান ও ফ্যাক্টরির এম,ডি মোঃ আশরাফুল ইসলাম (বাবু) আমাদের (শ্রমিকদের) হুমকি ধামকি দেয়, মামলার ভয় দেখায়, এখন পর্যন্ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে,
এ প্রসঙ্গে ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সিরাজুল ইসলাম (নিজাম) ও প্রডাকশন ম্যানেজার মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, আমরা মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকের বকেয়া বেতনের কথা বলেছি, মালিক পক্ষ আমাদের সরাসরি বলে দিয়েছে বকেয়া বেতনের টাকা দিবেনা, আমরা কোম্পানির চাকরি করি, মালিক পক্ষের উপরে কথা বলতে পারিনা, আমাদেরও চাকরির ভয় আছে। মালিক পক্ষ বকেয়া বেতনের টাকা যদি শ্রমিকদের না দেয় তারপরও আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে ঐ ফ্যাক্টরির সুপার ভাইজার মোঃ এমদাদুল হক ও মোঃ সাকিবুর রহমান বলেন, এই ফ্যাক্টরির মালিকের চরিত্রই এরকম, প্রতি মাসেই আমাদের বেতনের টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়, এখানে যারা বকেয়া বেতন পাবে তাদেরকে মালিক পক্ষ ছাঁটাই করে নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে (দৈনিক মজুরি হিসেবে) কারণ মাসিক বেতনে কোন শ্রমিক কাজ করতে আসেনা
এই ফ্যাক্টরিতে, সুপার ভাইজার মোঃ এমদাদুল হক আরও জানান, আমারা মালিকের কাছে লোহার শিকলে হাত পা বাঁধা, আমরা দুইজন সুপার ভাইজারের এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ (১৫০০০০) টাকা মালিকের কাছে বকেয়া পড়ে আছে। সুপার ভাইজার মোঃ এমদাদুল হক আরও জানান, শুধু আমাদের সুপার ভাইজারদের টাকা নয়, এরকম আরও প্রায় ৬৫-৭০ জন শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন পাবে মালিক পক্ষের কাছে।