অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে সারাদেশে মানুষের মঝে এক যোগে প্রচার চালাতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও দলের সহযোগি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন। টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা সফল ও শোকাবহ আগস্টে দলীয় কর্মসূচি সমন্বয় করতে এ জরুরী সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আগামী ৭ থেকে ১৪ আগস্ট গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই টিকা কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী টিকা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি সবাইকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাবেন বলে নির্দেশ দেন।
মানোনীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে করোনা মোকাবেলায় গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে। এই গণটিকা কার্যক্রম সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সারা দেশে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মানোনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে এই গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে। এই কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজে টিকা নিতে হবে, মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাতে হবে এটা আমাদের দলের নেত্রীর নির্দেশ।
মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সচারু রূপে সম্পন্ন করা হলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ বরাবরের মতো মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আগস্ট মাস এলেই বিএনপির গাত্র দাহ বেড়ে যায়। ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায়, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের স্বীকারোক্তিতেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়ার জড়িত থাকার কথা বেরিয়ে আসে। খুনীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড.আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।