বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশাল নগরীর পলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা রানু বেগমের তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকায় মঙ্গলবার দুপুর দুই টায় তাকে নিয়ে আসা হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার সুপারিশ করেন।
রানু বেগেমের ছেলে আল আমিন বলেন, সময়মতো একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার পেলে হয়তো আমার মা বেঁচে থাকতেন করোনা ওয়ার্ডের মাস্টার, নার্সদের খাম খেয়ালী এবং টাকার লোভের কারণে আমার মাকে চিরতরে হারিয়ে ফেললাম।
মৃতের স্বজনরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে রানু বেগম করোনা উপসর্গ নিয়ে বাসায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা অক্সিজেন দেওয়ার জন্য বললে তাকে করোনা ইউনিটে নেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন জনের কাছে অক্সিজেনের জন্য গেলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো রানু বেগমের ছেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওয়ার্ড মাস্টার মশিউর রহমান।
মৃতের স্বজন মাইনুল বলেন, তার চাচির এতদিন জ্বর থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। বেলা ২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখান থেকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করাতে বলা হয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার চাইলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবহেলা আর দুর্ব্যবহার করেছে।হাসপাতালের ওয়ার্ডা মাস্টারের ৫০০ টাকা না দেওয়ায় তার চাচির সিলিন্ডার দেননি এ কারণেই তার চাচি মৃত্যু হয়েছেন বলে জানান মাইনুল।
টাকার চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে করোনা ওয়ার্ডের মাস্টার মশিউর রহমান বলেন, আমি কনো রোগীরদের স্বজনকে গালিগালাজ করিনি কনো ধরনের টাকাও দাবি করিনি এছাড়া অক্সিজেন দেওয়ার এখতিয়ার আমর না।
করোনা ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, করোনা ইউনিট থেকে অক্সিজেন দেওয়া হবে না এমনটা হওয়ার কথা নয়। কী ঘটেছিল, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি অভিযোগের সত্যতা মিললে অবশ্যই জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।